যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ একেবারে শেষ হয়ে এসেছে। আগামী ৩ নভেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ নির্বাচনে ফেল করলে ভোটের ফল মেনে নেবেন কিনা নিশ্চিত নন ট্রাম্প। এখনই তিনি ফলাফল মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানালেন।
ফক্স নিউজের ক্রিস ওয়ালেসের সঙ্গে রোববারের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল মেনে নেবেন কিনা তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়ার সময় এখনও আসেনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেও একই ধরনের কথা বলেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ধরনের জরিপকে ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি জানান, হোয়াইট হাউসের জরিপ অনুযায়ী তিনিই এগিয়ে আছেন। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন মেনে নেবেন কিনা প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাকে দেখতে হবে। দেখুন… আমাকে দেখতে হবে। না, আমি এখনই হ্যাঁ বলতে যাচ্ছি না। আবার না-ও বলছি না। গতবারও আমি তা করিনি।’
২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে আগাম ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান।
চার বছর আগের ওই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে প্রার্থিতার লড়াইয়ের শেষ দিকে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ডেমোক্র্যাটরা জিতলে তা মেনে নেবেন না।
বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে জানালেন ট্রাম্প। তার মতে, ‘সে (বাইডেন) অসুস্থ, মানসিকভাবে অসুস্থ।’ এবং প্রেসিডেন্ট হলে বাইডেন দেশকে ধ্বংস করে দেবেন।
বাইডেনের সাক্ষাৎকার দেয়ার ‘যোগ্যতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের এ প্রেসিডেন্ট, ‘এই ধরনের সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে আসতে বলুন। মাকে ডাকতে ডাকতে তিনি মাটিতে গড়াগড়ি খাবেন।’
তিনি বলবেন, ‘মা, মা আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও।’ ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জো বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার জনগণই এ নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’