
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, কেয়ারকেটার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত গত চারটি নির্বাচনই অধিকতর গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কিন্তু তা তুলে দেয়া হয়েছে। ফলে মানুষ ভোটাধিকার হারিয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে আবারও নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার আহবান জানাই।
সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, ভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি রচনা করেছে। মূলত, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্লোগান ও কুরআনকে সংবিধান মেনে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছিল। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইনসাফের কথা বলেছেন।
কিন্তু পাক শাসকরা আমাদের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। কিন্তু আমরা দ্বিতীয় দফায় স্বাধীনতা লাভের পরও দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, নেই কথা বলার অধিকার। দেশকে পরিকল্পিতভাবে মেধাশূণ্য করা হচ্ছে। ভাষার মাসের বই মেলায় ইসলামী বইয়ের জন্য স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অথচ মদের ওপেন লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু তৌহিদী জনতা সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের গল্প শুধু সরকারি তামাশা ছাড়া কিছু নয়। উন্নয়ন বলতে কেবল সরকার দলীয় নেতা এমপি ও মন্ত্রীদের সম্পদ বাড়ছে। কথিত উৎস হিসাবে মাছ চাষের কথা বলা হচ্ছে। আর এসব অর্থ দিয়ে তারা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত এদেশ জোয়ার-ভাটার দেশ। আর এদেশে স্বৈরাচারি শক্তি কখনো বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান জামায়াতের আমীর।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন প্রমূখ।