বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই গোটা জেলা জুড়ে এ অবস্থা বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি সকাল ১০টার সমীক্ষা অনুযায়ী মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। যার ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বেলা ১টার দিকে মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস ও বোঝাই স্বাভাবিক থাকার কথা নিশ্চিত করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের কন্ট্রোল জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত বাড়ানো ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্দরে ৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিল। সবগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় জুম লিঙ্কের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে।
পাশাপাশি সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার, স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ, জনস্বাস্থ্য, জিএম, পল্লী বিদ্যুৎ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনাসহ ৯ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটে ৪৪৬টি সাইক্লোন সেন্টার এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছড়াও জেলায় ত্রাণ বাবদ ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লক্ষ টাকা মজুদ আছে।