‘অবিলম্বে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন, অন্যথায় জনতার রুদ্ররোষে পালানোর পথ পাবেন না’-সরকারকে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা পুনর্বহালের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ নম্বর গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দিন, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান, আব্দুর রহিম ও সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘অবৈধ সরকার ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর সব জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী জননন্দিত ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমন অন্যায্য রায় জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মূলত, আওয়ামী লীগ খুনি, গুম ও দুর্নীতিবাজ, ভোটচোর, আইন ও সংবিধান লঙ্ঘনকারী সরকার। তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে টানাহেচড়া শুরু করেছে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে এসেছে। বাকশালি সরকার জনতার আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ও দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু জনতার বুকে পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বরং গণবিরোধী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনতার আন্দোলন চলবে।’
তিনি আগামী দিনের রাজপথের সব কর্মসূচিকে আরও জোরদার করার জন্য দলমত নির্বিশেষ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ড. রেজাউল করিমবলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ দলীয় শীর্ষনেতাদের অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে।’
মহানগরী সেক্রেটারি সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, অন্যথায় টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আর এই আদালতেই আওয়ামী-বাকশালিদের নিবন্ধন বাতিল হবে।’
তিনি জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় বাকশালিদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।