জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিজের শরীরে আগুন দেওয়া মো. আনিসুর রহমান ওরফে গাজী আনিস (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোর সোয়া ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যু হয় তার।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, গাজী আনিসের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, হ্যানোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনার দাবি নিয়ে গত ২ মাস আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করেছিলেন আনিস। কিন্তু টাকা না পেয়ে গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) হঠাৎ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শরীরে আগুন দেন তিনি। পরে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে সন্তান প্রসব বিজিবি দম্পতিরপদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে সন্তান প্রসব বিজিবি দম্পতির শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারছি, এই আত্মহত্যা চেষ্টাকারীর নাম গাজী আনিস। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী এলাকায়। হ্যানোলাক্স কোম্পানির কাছে তিনি এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা না দেওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
গাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সভাপতি। ১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য তিনি। গাজী আনিস কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার পরিবার যশোরে থাকেন।