মানব পাচার, ভিসা বিক্রি, অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। পাশাপাশি দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে অভিযোগ তুলেছেন।
বুধবার আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের তদন্তকারীদের পাপুল বলেছেন, ‘আমি নিষ্পাপ… কিন্তু কর্মকর্তারা নন’। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে তার ওই লেনদেনকে ন্যায়সঙ্গত দাবি করে তিনি বলেন, ‘কুয়েতে আমার ৯ হাজার কর্মী আছে। কেউ আমার কাজের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন করেনি। তবে (কুয়েতের) কিছু কর্মকর্তা আমার কাজ বন্ধ করেছেন। তাদেরকে কেবল টাকা দিয়েই রাজি করানো যায়। আমি এক্ষেত্রে কী আর করতে পারি?’
সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি এমপি তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, তার কোম্পানিতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা অন্য কোম্পানিতে নেই। এ সময় তিনি কোম্পানির মানের প্রমাণ হিসেবে তিনি সরকারি যেসব এজেন্সিগুলোর সঙ্গে তার কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, সেসবের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সব সমস্যার মূলে রয়েছেন কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা।’
এর আগে পাপুলকে আর্থিক লেনদেনে সহায়তা ও ঘুষ গ্রহণের জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুয়েতে আদম ব্যবসায় অনিয়ম এবং হাজার কোটি টাকার কারবারে জড়িত সন্দেহে গত ৬ জুন সংসদ সদস্য পাপুল দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সর্বশেষ গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।