টাইগারদের দুর্দান্ত জয়ে তছনছ হয়েছে রেকর্ডের পাতা। ১৭ ম্যাচ পর ঘরের মাটিতে হারের তেতো স্বাদ পেলো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। কিউইদের মাটিতে যে কোনো ফরম্যাটেই এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। রেকর্ড করেছেন ম্যাচ সেরা এবাদত হোসেনও। ঘরের বাইরে টাইগারদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই পেসার।
আমরা করবো জয়, গানটি পরিণত হয়েছে টাইগারদের থিম সংয়ে। বাংলাদেশের ১৬ তম টেস্ট জয়ের পরও ড্রেসিংরুমে গাওয়া হয়েছে এই গান। অনেক প্রথমের ইতিহাস বদলেরও ছিল এই মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়। ১০ বছর আগে ভলিবল প্লেয়ার হিসেবে এয়ারফোর্সে জয়েন করা এবাদত হোসেন ম্যাচ সেরা হলেন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বে ওভালে। এভাবেই বদলায় ইতিহাসের পাতা, বদলান এবাদতরা।
১২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ ১৭৬.২ ওভার ব্যাটিং করেছে কোনো দল, আর সেটাও বাংলাদেশ। গত ৫ বছরে তৃতীয়বারের মতো ৪০০’র বেশি রান করেছে মুমিনুল হকের দল। আর এবারেরটা সেঞ্চুরি ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
অন্যদিকে এক ইনিংসে রেকর্ড ৬ উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন। গত ৯ বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। ঘরের বাইরে সেরা এই বোলিং ফিগার সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা স্পেল।
অন্যদিকে ভেঙে পড়েছে ‘দ্য লাস্ট ফ্রন্টিয়ার’ কিউই দুর্গ। ঘরের মাটিতে টানা ১৭ ম্যাচে যে দলটা হারেনি একবারও, তাকেই হারের তেতো স্বাদ দিয়েছে লাল সবুজের দল। টানা ৬ জয়ের পর প্রথম হার জুটলো নিউজিল্যান্ডের। কিউইরা নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে শেষ হেরেছিল সেই ২০০৯ সালে, পাকিস্তানের সাথে ২০১১ সালে এবং লঙ্কানদের সাথে ২০০৬ সালে। এমন জয় তাই শুধু বাংলাদেশের জন্য না, ক্রিকেট পরাশক্তিদের কাছেও পরম আরাধ্য।
ঘরে টানা ৮ সিরিজ জিতেছে কিউইরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট আর মাত্র একটা। তাই এবার আর জয় সম্ভব না। তাই তো বাংলাদেশের জন্য রেকর্ড বাকি রইলো একটা, আর সেটা সিরিজ জয়। মুমিনুলরা যে পারেন সেটা তো তারা দেখিয়েই দিয়েছেন বে ওভালে।