পিবিআইয়ে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী ইন্সপেক্টর আদালতে ধর্ষণের যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেটি ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) হিসেবে গ্রহণ করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। যে ঘটনা বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে এবং মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওই নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিন ধর্ষণ করেছেন এসপি মোক্তার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা আবেদন জানান ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা। এরপরই একইদিন বিকেলে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদন এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে উত্তরা পূর্ব থানাকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মোতাবেক গতকাল রাতেই অভিযোগটিকে মামলা (নং-০৭) হিসেবে গ্রহণ করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে আরটিভি নিউজকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পূর্ব থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর গাজী। তিনি বলেন, মামলার বাদিনী আমাদের থানায় এখনও আসেনি। তবে আমরা আদালতের নির্দেশের ডকেট হাতে পেয়ে সেটির এফআইআর গ্রহণ করেছি। এখন যথাযথ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন অবস্থায় ধর্ষণের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদী এবং অভিযুক্ত দুই জনেই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সুপার ওই শান্তি মিশনে পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন। সেখানে অবস্থানকালীন এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই নারী পুলিশ ইন্সপেক্টরকে অভিযুক্ত পুলিশ সুপার নানা সময়ে যোগাযোগ করতেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে একদিন পেটের সমস্যার কথা উল্লেখে করে ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরকে দুপুর বেলায় তাকে রান্না করে খাওয়ানোর কথা বলেন। এরপর সেখানে যাওয়ার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (১) ধারায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।