নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের তদন্ত কমিটির খোঁড়াখুঁড়িতে ওয়াসার ৩৬টি পানির লাইন বিচ্ছিন্ন হলেও শনাক্ত করা যায়নি এগুলো কোন বাড়ির। যার ফলে ওয়াসার কর্মকর্তারা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াসার কর্মকর্তা বলেন, এখানে ৩৬টি লাইন অবৈধ। প্রতিটি বাড়িতে অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। যার জন্য কেউ তাদের বাড়ির পানির সংযোগ ঠিক করার জন্য আসেনি। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আজগর হোসেনকে জানানো হয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর সকালে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে দেখা যায়, তিতাসের তদন্ত কমিটির নির্দেশে খোঁড়াখুঁড়ির পর গর্ত ভরাট করার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। আধা ঘণ্টা ধরে খোঁজ করলেও এগিয়ে আসেনি কেউই।
ওয়াসার শ্রমিকরা বলেন, সোমবার থেকে তিতাস গ্যাসের শ্রমিকেরা তাদের গ্যাসের লাইন খুঁজতে গিয়ে আমাদের পানির লাইন ড্যামেজ করে ফেলে। ওই লাইন মেরামত করতে এসে দেখা যায় ৩৬টি বাড়ির পানির লাইনে সমস্যা। কিন্তু এসব লাইনগুলো কাদের বাড়িতে গিয়েছে কেউ জানাতে আসেনি। তাই এগুলো বন্ধ করে করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নাত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন। এদের ৩৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। দগ্ধদের ৩১ জন মারা গেছেন।
এ ঘটনায় তিতাসের বিরুদ্ধে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তিতাসের একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি গ্যাসের সঠিক উৎস সন্ধানে মসজিদের উত্তর ও পূর্ব পাশে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করলে ওয়াসার পাইপ ড্যামেজ হয়।