নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০)-সহ তিন জনকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত অপর দুজন হলেন উপজেলার কুমরাদী গ্রামের তাজুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)। অভিযুক্ত খুনি কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়ার বাড়ি একই গ্রামে। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কুমরাদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন আরও দুজন। শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম এসব তথ্য জানান।
পুলিশ ও নিহতদের পরিবার জানায়, ৮-৯ বছর আগে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া নারায়ণগঞ্জের শিবপুরের দুলালপুর এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তারা কুমরাদী গ্রামের তাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাজমা বেগম ও বাদল মিয়ার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী বাদল স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার আগের সংসারের এক ছেলে সন্তানকে কুপিয়ে আহত করে। চিৎকার শুনে বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে কুলসুম বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে মারা যান বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন