মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। এমনটাই উঠে এসেছে একাধিক জনমত জরিপে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সম্প্রতি নতুন করে জরিপ চালায় সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং জরিপ সংস্থা এসএসআরএস । সেখানেও উঠে এসেছে একই রকম চিত্র। সোমবার সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে তাদের সর্বশেষ এ জরিপেও এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন ৪২ শতাং ভোটার।
২০১৯ সাল থেকে সিএনএন-এর প্রতিটি জরিপেই এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। গত বসন্তের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে বড় ধরনের সবকটি জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন তিনি। তবে নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা ‘দোদুল্যমান’ রাজ্যগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, জরিপে বাইডেন যতটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন গত দুই দশকেও শেষ মুহূর্তে কোনও প্রার্থী এতোটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন না। গত নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে জয় পান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার জনপ্রিয়তায় উল্লেখযোগ্য কোনও অর্জন হয়েছে; এমন চিত্র দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে এরইমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটিরও বেশি ভোটার। এ সংখ্যা ২০১৬ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার উপস্থিতির অর্ধেক।
সিএনএন-এসএসআরএস –এর জরিপে বলা হয়েছে, আগাম ভোট দিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই জো বাইডেনের প্রতি রায় দিয়েছেন। অন্যদিকে এমন ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি রায় দিয়েছেন ৩৪ শতাংশ।
এখনও পর্যন্ত ভোট দেননি; তবে আগাম ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এমন ভোটারদের ৬৩ শতাংশই জো বাইডেনের সমর্থক। অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে দুই তৃতীয়াংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। নির্বাচন প্রকল্পের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, আগাম ভোট প্রদানকারী ভোটারদের সংখ্যা বাড়ছে। এক শতকের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট প্রদানের রেকর্ড হতে পারে এবারের নির্বাচনে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সংখ্যা থেকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে মার্কিন জনগণের আগ্রহের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এর মধ্য দিয়ে মার্কিনিদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে দূরে থাকার প্রবণতাও দৃশ্যমান হচ্ছে। ডাক ভোটের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে নির্বাচনে আগাম ভোটে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। যদিও ঐতিহাসিকভাবে আগাম ভোটের সুবিধা পেয়ে আসছিল রিপাবলিকানরা। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভোট ব্যবস্থায় জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে অভিযোগ তোলার পর রিপাবলিকানদের মধ্যে আগাম ভোট দেওয়ার প্রবণতা কমে এসেছে।
ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেলে ফল মেনে নেবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনও বলেছেন, এটিই তার সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স।