
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার এসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার। এছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করা হয়েছে।
বুধবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসপি শহীদুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পলায়নের ৮ ঘণ্টা পর এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০) উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত মো. আবদুল লতিফের ছেলে। বুধবার রাত ১২টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে রয়েছে। অপর পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। দুই ধর্ষণ মামলার আসামি পলায়নের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার দুই আসামি জুয়েল (২৬) ও দেলোয়ার (৩০) বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের টয়লেট থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হচ্ছে- সোনাইমুড়ীর বাট্টা গ্রামের মুজামিয়া বেপারী বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৬) ও বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত মো. আবদুল লতিফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০)।
সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বুধবার ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও ভিকটিমকে ঢাকার মালিবাগ সিআইডিতে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। এরপর ফেরার পথে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার হাইওয়ে এলাকায় আল মদিনা হোটেলে তারা দুপুরের খাবার খেতে যাত্রাবিরতি দেয়। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করে। পরে দুই আসামি টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় বলে দাবি করছে পুলিশ।