ধর্ষণের বিরুদ্ধে ৯ দফা দাবিতে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে লংমার্চকারীরা ফেনীতে হামলার শিকার হয়েছে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় এই হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লংমার্চে থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় বলেন, ফেনীতে সমাবেশ শেষে নোয়াখালী রওনা হতে বাসে ওঠার সময় লাঠিসোঁটা ইট নিয়ে এই হামলা হয়। আহতদের মধ্যে হৃদয়, আনিকা, ইমা নামে তিনজনের নাম জানা গেছে।
হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে স্থানীয়দের বরাতে অভিযোগ করেন জয়। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কারও বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
কর্মসূচিতে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল জানিয়েছেন, লংমার্চের প্রায় ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এ সময় নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পর লংমার্চে অংশকারীদের নোয়াখালী পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার নোয়াখালীর পথে এই লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। যে জেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর সারা দেশে নিন্দার ঝড় বইছে সেই নোয়াখালী শহরে শনিবার বিকেলে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠন এতে যোগ দিয়েছে।