ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণবিরোধী আলাদা আলাদা সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় দাবি করেন, সিলেটের এমসি কলেজের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পক্ষ নেয়ায়, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। অন্যদিকে, ধর্ষণবিরোধী আলাদা একটি বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদল দাবি করেছে, সহাবস্থান না থাকায় ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের এমসি কলেজ, এবং খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সমাবেশে বক্তারা সবাই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযুক্তের পক্ষে অবস্থান নেয়ায়, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র দাস।
সভায় বক্তারা দাবি করেন, গত ১০- ১২ বছর ধরে সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রম নেই। তাই সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে ছাত্রলীগের নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বলেন, ‘ধর্ষকের কোনো দল নেই। তারা কুলাঙ্গার। আপন ভাই ভাইকেও খুন করে। তার দায়ও কি ছাত্রলীগ নেবে?’
এদিকে বিএনপির নয়া পল্টন অফিসের সামনে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ধর্ষণের জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান না থাকাকে দায়ী করেন।
মানববন্ধন শেষে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ