তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সংখ্যালঘু এক নারী (৩৪)কে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ঘটনার স্থিরচিত্র, ভিডিও ধারণ করে ওই নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নগদ অর্থও হাতিয়ে নিয়েছে ধর্ষকেরা।
এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছেন উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের ছোট ভাই ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছালিক বক্স (৪০), মানগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হাসানুল বারী সানী (২৬) ও শরীফপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান (৩২)। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত ৩রা জুলাই চেয়ারম্যানের ভাই ছালিক বক্সকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, ঈদের দিন এক নারী উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। বাসায় ওই নারীকে রেখে ব্যবসায়ী আত্মীয় বাজারে তাঁর দোকানে যান। রাতে ওই নারী বাসায় একা থাকার সুযোগ নিয়ে চেয়ারম্যানের ভাই ছালিক বক্স তাঁর সহযোগী হাসানুল বারী সানীকে নিয়ে দরজা ভেঙে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় ছালিক বক্স ও হাসানুল বারী সানী ওই নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ কাজে তাদের সহায়তা করেন তাদের সহযোগী শরীফপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান। এ সময় আসামীরা ওই নারীর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেওয়ার শর্তে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন তারা। পরে ভিকটিমের আত্মীয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধর্ষনকারীরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশের কয়েকটি দল।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক বলেন, এ ঘটনায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই ভিকটিম। পরে ওই নারীকে গতকাল সোমবার (৩রা জুলাই) বিকেলে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।
প্রতিকি ছবি সংযুক্ত হবে।