দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, দেশের বড় ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ বিএনপি সমর্থক। তারা বিএনপির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পণ্য মজুদ করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের চক্রান্তের সঙ্গে মিলিয়ে অনেক সময় পণ্য মজুদ করেন, দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা চালান।’
তিনি বলেন, ‘কম আয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে, এজন্য টিসিবির আওতা বাড়ানো হয়েছে। এক কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, সেই বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯২তম দেশ। কিন্তু এই দেশ সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। এটা কোনো জাদুর মাধ্যমে হয়নি, সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে।
‘গত ১৩ বছরে পুরো বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। ১৩ বছরের আগের তুলনায় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভালো আছে। কিন্তু এই উন্নয়ন অগ্রগতি যাদের পছন্দ হয় না, সেই বিএনপি ও তাদের দোসরেরা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুইজনেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাই তাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। এ কারণে তাদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চান না।
‘শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়, রিজভী সাহেবও অনেক কথা বলছেন। আমাকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেছেন।
আমি গ্রামের এমপি। গত ২০-২২ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে আমার নির্বাচনী এলাকায় যাই। রিজভী সাহেব পল্টনে তাদের দলের কার্যালয়ে বসে থাকেন, ওখান থেকে কোথাও যান না। ওখানেই খান, ওখানেই ঘুমান। সেই কারণে তিনি দেশের অবস্থা সম্পর্কে জানেন না। আমরা সারা দেশেই বিচরণ করি।’
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব শুধু মিডিয়ার সামনে কথা বলেন, আর রিজভী সাহেব তাদের দলের কার্যালয়ে বসে থাকেন। সেখানে বসে থাকতে থাকতে তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। সেই কারণে তিনি উদভ্রান্তের মতো কথা বলেন।