পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২২ সালের মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের প্রেক্ষাপটে বৈঠকে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ড. আব্দুল মোমেন গত পাঁচ দশকে অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করে আরব আমিরাতের নেতৃত্ব ও জনগণকে তাদের জাতীয়তার ৫০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন জানান।
এ প্রসঙ্গে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বৈত সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্মত হন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
দুই দেশের মধ্যে গভীর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বর্ধিত বিমান ও সামুদ্রিক সংযোগ বিশেষ করে দুই দেশের সমুদ্র বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং সংযোগ স্থাপন এবং সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, আইসিটি, এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন ফর্ম অন্বেষণ করতে সম্মত হন যাতে সম্পর্ককে ব্যাপকভাবে উন্নীত করা যায়।
অংশীদারিত্ব দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়েও মতবিনিময় করেন। ড. মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
ড. মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার সুবিধামতো বাংলাদেশ সফরের জন্য একটি আন্তরিক আমন্ত্রণ জানান যা আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সদয়ভাবে গ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ১০-১৩ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।