দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ হাজার ৩৮৩ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ১৫৮ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলো ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ করোনা রোগী।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন। এর আগে গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) আরও ২ হাজার ৫৮২ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৭ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৩ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৩০৫ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ নিয়ে ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৭৩৭ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ লাখ ১ হাজার ৪২২ জন। এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৯৯ জন।
করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৪৮৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৬৮ জন।
করোনায় মৃতের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫ হাজার ৮১৬ জন। আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ১০ লাখ ৫ হাজার জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪১৪ জন।
সুস্থতার দিক থেকেও প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৩৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৩২ লাখ ১০ হাজার ৪০৫ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত (২৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৬ জন)।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।