দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ২১ জন। এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ৬০২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ২৩ হাজার ৮৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন চার হাজার ৫৮৫ জন।
সোমবার (১৮ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, চার জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন এবং সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে একজন করে রয়েছেন।
মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ, আর মৃত্যু হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, ৪২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ছিল ৯ হাজার ৯৩৩ টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৭৮৮টি নমুনা। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ১৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৩১ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৩৮২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া মোট ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৭০০ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে তিন হাজার ৪১২ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯০৭ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৭৪১ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৭২ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫০ হাজার ৮৮ জন।