বাংলাদেশে বর্তমানে ২০ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত। প্রতি বছর আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ মানুষ নতুন যোগ হয়, মৃত্যুও হয় প্রায় লাখের কাছাকাছি। অর্থাৎ, এক লাখ মানুষ যদি বছরে মৃত্যুবরণ করে তাহলে গড়ে প্রতিদিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৭৩ জন।
বৃহস্পতিবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ব ক্যানসার দিবস উপলক্ষে মহাখালীতে ক্যানসার হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগ সারা পৃথিবীতে, আমাদের দেশেও বাড়ছে। জীবনযাত্রার উন্নয়নের পাশাপাশি এসব রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। বাংলাদেশে ৬৭ শতাংশ মানুষ ননকমিউনিকেবল ডিজিজে মারা যায়।
তার মধ্যে দেশে ২০ লাখ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী আছেন। প্রতি বছর আরও প্রায় এক-দেড় লাখ মানুষ যোগ হয়। মৃত্যুও হয় প্রায় লাখের কাছে। অর্থাৎ, এক লাখ লোক যদি মৃত্যুবরণ করেন বছরে, তাহলে রোজ মারা যায় ২৭৩ জন।
আর তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেখতে হবে ক্যানসারের কারণটা কী, কীভাবে একে প্রতিরোধ করা যায়।
ঢাকার বাতাস অন্যান্য দেশের তুলনায় অত ভালো না মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, যার ফলে আমাদের ল্যাং ক্যানসার, গলার ক্যানসার হয়। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার এই দূষিত বাতাসের কারণে হয়। সেই সঙ্গে নদী-নালায় শিল্পের বর্জ্য ফেলা হয়। এ সমস্ত নদীর পানি যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
খাবারে ভেজাল রং, ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। যার কারণে ক্যানসার হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলাফল দেখা যায়, পাকস্থলীর ক্যানসারের রোগী দেখলে। খাদ্য উৎপাদনের সময় কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। সেটার কারণেও অনেক মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।
আর মানুষের আয়ু বেড়েছে, সে কারণেও কিন্তু তারা ক্যানসারের ঝুঁকিতে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসা দেওয়া যায় এবং অনেক ক্যানসার রয়েছে যেগুলোর ভালো চিকিৎসা দিলে ভালো হয়ে যায়।
তাই আমরা ক্যানসার চিকিৎসার ব্যাপ্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।