দেশে সব জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। দেশে কোনো মূল্যস্ফীতি নেই। গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির রেট। বাংলাদেশ একটি ‘অসাধারণ দেশ’।
শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি সারাবিশ্বে আছে, আমাদের এখানে নেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও তুলনামূলক তা কম। যা বেড়েছে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে মেলালে দেখবেন এখন মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে।’
দেশের মানুষের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা দুটোই বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবেই নেই। এগুলো উত্তরণে আমরা ফ্লেক্সিবল অ্যাপ্রোচে আছি। আমরা চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য ৪৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, আমরা ৬০ বিলিয়নে যাব। আমাদের রপ্তানিও কমবে না। আমাদের হোঁচট খেতে হবে না এবং আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব না।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী রেমিটেন্স নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। রেমিটেন্সের লক্ষ্য অর্জন করতে গেলে ইনসেনটিভ আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়ার দরকার ছিল। সেজন্য রেমিটেন্স যোদ্ধাদের বর্ধিত খরচ যোগান দিতে প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।