কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দরিদ্র, গরীব ও দুঃস্থ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনতে ৬৫টিরও বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। ফলে করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি। বর্তমানে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই বরং জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে ধরতে পাকিস্তানের আরও কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। এ ছাড়া, শিক্ষা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্য মোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের এ সাফল্য সারা পৃথিবীতেই প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এর প্রশংসা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২৩-২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। এবারের বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়। কৃষি আধুনিকীকরণ ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ ক্ষেত্রে সরকার নানামুখী ভর্তুকি দিচ্ছে।’
করোনার প্রকোপ না বৃদ্ধি পেলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বিরোধীদল হিসেবে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়।