দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৮১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৪২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন করোনা শনাক্ত হলেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ছয় জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগের দুই জন এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে রয়েছেন।
এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২২ জন, বাসায় মারা গেছেন ১২ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার৭৮৮টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪টি। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৫৮ হাজার ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৮৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ছয় হাজার ৭৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৬৭৪ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩৭৫ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৯৫ হাজার ১৮৮ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৬৩৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।