দেশের ৮টি বিভাগে ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের পর দেশের মানুষকে চিকিৎসার জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না বলে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যেই দেশের ৮ বিভাগে ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই হাসপাতালে ক্যান্সার রোগের পাশাপাশি কিডনি ও হার্টের চিকিৎসারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি বিভাগে অন্তত ৩০০টি করে শয্যা সংখ্যা রাখা হবে। হাসপাতালের শয্যাগুলিতে আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি ওয়েটিং রুম, চিকিৎসকদের বিশ্রামাগার, অ্যাটেন্ডেন্টসদের জন্য আধুনিক ও উন্নত ব্যবস্থা রাখা হবে। হাসপাতালগুলি নির্মাণের পর দেশের মানুষকে চিকিৎসার জন্য আর বিদেশমুখী হতে হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৮টি বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিতব্য সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেছি। গত ৬/৭ মাস আমরা কাজ করতে পারিনি। এখন আমরা নন-কমিউনিকেবল ডিজিস যেগুলো আছে সেগুলোর ওপরে জোর দিয়েছি, কাজকর্ম শুরু করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রকোপ কমে আসছে। করোনার বাইরে যেসব নন-কোভিড রোগী আছে করোনার কারণে তারা সেইভাবে চিকিৎসা পায়নি। আমরা আগামীতে অনেকগুলো হাসপাতাল নন-কোভিড করে দিচ্ছি, এ মাসের শেষে। এখানে সবাই চিকিৎসা নিতে পারবে। অনেকের চিকিৎসা প্রয়োজন কিন্তু ভয়, কোভিডের কারণে চিকিৎসা নিতে পারছে না। বাসায় বসে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগী হাসপাতালে আসছে না।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ জন্য এ মাসের শেষে অবস্থা যদি আরও ভালো হয়, তাহলে আমরা বেশ কয়েকটি হাসপাতাল নন-কোভিড করে দেব। সেখানে আমরা-আপনারা সকলেই চিকিৎসা নিতে পারব। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব হবে না। যেসব কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড ঘোষণা করা হবে, সেখানে কোভিড চিকিৎসা হবে না, কোভিডের জন্য আলাদা হাসপাতাল আছে, সেখানে চিকিৎসা হবে।’
‘কত সংখ্যক হাসপাতাল নন-কোভিড করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে কোভিড হাসপাতালের ৭০ শতাংশ সিট খালি।’
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন/ হাসপাতাল), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিকল্পনা অনুবিভাগের বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।