বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীদের সবাজ দেশ প্রেমিক। দেশ প্রেম ও মানবিকতার কারণেই দেশের যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে এসে পাশে দাঁড়ান৷
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আমেরিকা প্রবাসী ওমর ফারুক সামি দেশে আগমন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন৷
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় এলাকাবাসীর দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওমর ফারুক সামি স্থানীয় সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় দেশে আগমন উপলক্ষে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তাকে৷
মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শেষে ফুয়াদ আহমদের সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সাবেক ব্যাংকার কাউসার আহমদ, সমাজ সেবক নুরুল আম্বিয়া, নিরেস বিশ্বাস, যুবনেতা আলীম উদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান তুহিন,আব্দুল বাছিত, আলী জুমনসহ যুব সমাজের প্রতিনিধিরা।
আমেরিকা প্রবাসী ওমর ফারুক সামি বলেন, আমি একজন সাধারন প্রবাসী দেশে ফিরেছি স্বাভাবিকভাবে। আমার এই আগমনে নেই কোনো ভিন্নতা। সবার মতো আমিও ছুটিতে দেশে ফিরেছি। এরপরও আপনারা আমাকে আজকে যে ভালোবাসাটা দিয়েছেন তার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা সবার আগে এগিয়ে আসেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে সকল সমস্যায় প্রবাসীরা দেশ প্রেমের পরিচয় দেন৷ প্রবাসীরা মানবতার জন্য কাজ করেন সব সময়৷’
সামি বলেন, ‘আমিও আমার সাধ্যমত এলাকার যেকোনো পরিস্থিতিতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করি। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আগামীতেও এলাকার অন্যান্য প্রবাসীদের সঙ্গে নিয়ে পাশে থাকব৷ আর থাকবই বা না কেন? এলাকার সবাই আমরা একে অন্যের আত্মীয় স্বজন। কেউ চাচা আর কেউ ভাই। তাই আমি আমার দায়িত্ব থেকে মাঝেমধ্যে আত্মীয়তার হক আদায়ের চেষ্টা করি। এলাকার জন্য কিছু করতে হলে শুধু যে জনপ্রতিনিধি হতে হবে এমনটা নয়৷ আমরা সবাই নিজ নিজ এলাকার জন্য কাজ করলে এই সমাজ অনেক সুন্দর হবে।’
অনুষ্ঠানে আমেরিকা প্রবাসী কুনু মিয়া, রুহুল আমিন, সাদিকুর রহমান জনি, জামিল ফারুক সায়েমকে ম্মাননা স্মারক তুলে দেন গোটারগাঁ যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, ওমর ফারুক সামি স্থানীয় যেকোনো দুর্যোগে এলাকার পাশে দাঁড়ান৷ বিশেষ করে করোনা ও বন্যার সময় ত্রাণ বিতরণ করেছেন৷ এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়ান।