বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিজেদের অধিকার নিজেদেরই আদায় করতে হবে, বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতি খুবলে খুবলে খাচ্ছে। হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অবশ্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না।
রোববার, মে ২১, ২০২৩, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
মির্জা আলমগীর বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে বেমালুম ধ্বংস করে দিয়েছে। বেশিরভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধীদল কোনো প্রার্থী দিচ্ছেন না। সিলেটের জনপ্রিয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী দুবারের মেয়র হয়েছেন এবং সিলেটের মানুষ তাকে আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফও জনসভা করে বলেছেন, এই নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। সিলেটের মানুষ চোখের পানি ফেলে কেঁদেছে, তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, এতগুলো মিডিয়া আছে, কিন্তু স্বাধীনভাবে লিখতে ও বলতে পারে না। অসংখ্য সাংবাদিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। দিনকাল বন্ধ করেছে। সাগর-রুনি দম্পতির চার্জশিট দিতে পারেনি। কেউ কথা বলতে পারে না চাকরির ভয়ে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শফিউল আলম প্রধান একটি সাম্য ও মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন এবং লড়াইও করেছেন। কিন্তু আজও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এই সরকার দিচ্ছে না। কারণ তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আজকে রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট করছে।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হতে হবে। এই দাবিতে সব জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।