ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের গ্রামে আতঙ্ক ছড়াতে গভীর রাতে সুকৌশলে বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। খাসকান্দি গ্রামে সোমবার দিবাগত রাতের (৩০ মার্চ) আগুনে চা বিক্রেতা মো. বাচ্চু মিয়াজীর (৫০) রান্নাঘরের সঙ্গে গরুর খামার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ মৌসুমী ফসল আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।
আগুনে উন্নত জাতের বিদেশি গাভী ও বাছুরসহ তিনটি ছাগল পুড়ে ছাই হওয়ায় ওই দরিদ্র চা-বিক্রেতার আহাজারিতে শোকের বাতাস ভারী হয়ে উঠে। বাচ্চু মিয়াজী খাসকান্দি গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে।
বাচ্চু মিয়াজী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রতিবেশির ডাকে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কিন্তু এরই মধ্যে গরু, ছাগলসহ গোয়াল ঘর পুড়ে যায়। এ সময় খামারে থাকা পাঁচটি পশু আগুনে পুড়ে মারা যায়। এর মধ্যে দুটি বিদেশি গাভী ছিল। এছাড়া গোয়ালঘরে নতুন চিরাইকৃত কাঠ বাঁশসহ সাংসারিক নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখা ছিল। সেগুলোও পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে চার লাখ টাকার বেশি বলে দাবি করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটা দুর্বৃত্তায়ন। কারণ গরুর খামারে কোনও বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল না। এছাড়া অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইউনিয়নের হোগলাকান্দী গ্রামে গত সপ্তাহে একরাতে চারটা বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। গত রাতে খাসকান্দি গ্রামে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খুবই দুঃখজনক। সুকৌশলে বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।