দুবাইয়ে বাংলাদেশ বইমেলার প্রথম দিনে চারটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের কাব্যগ্রন্থ ‘তাহার কথা খুব মনে পড়ে’, কামরুল হাসান জনির উপন্যাস ‘সন্ধ্যাতারার নামে’, ২৪ জন প্রবাসীর লেখা বই ‘লকডাউন’ এবং কারাগারের রোজনামচা বইয়ের আরবি অনুবাদ করেছেন ড. আব্দুস সালাম৷
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ ঘটিকায় প্রবাসে পাঠক আগ্রহ সৃষ্টি ও মানসম্পন্ন লেখক তৈরির লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বইমেলা ও বিজয় উৎসব’ শুরু হয়৷ বই মেলা চলবে রোববার পর্যন্ত।
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্বিতীয় এ বইমেলায় ৭০ টি স্টল রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর যোগ দিয়েছে ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও লেখক ড.সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর৷ কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি।
রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, বই মেলার মাধ্যমে যাদের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে সেটি বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বই লেখা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না৷ যাদের মধ্যে উৎসাহ, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা রয়েছে তারাই মূলত লেখালেখি করেন৷ দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেসব লেখকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের কর্ম তুলে ধরার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে বই মেলার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, দুবাইয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বইমেলা প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরা হচ্ছে৷ শেকড়ের কাছে পৌঁছার জন্য বই মেলা খুবই ইতিবাচক। তবে সাধারণ প্রবাসীদের অংশগ্রহণ আরও না বাড়ালে এই প্রসেসটা সুফল বয়ে আনে না৷ তাই সর্বস্তরের প্রবাসীদের অংশগ্রহণ কাম্য৷
ড.সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বইয়ের মাধ্যমে পুরো পৃথিবী জানা হয়ে যায়৷ বিদেশের মাটিতে যখন বই মেলা হয় তখন প্রথম ভালো লাগার বিষয় দেশকে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি। দুবাইয়ের এই বই মেলা প্রতিবছর হোক যাতে প্রবাসীরা বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে পারেন৷
লেখক শিহাব শারিয়ার ও আশিষ কুমার সরকার কমার্শিয়াল কাউন্সিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন শেখ জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাবিবুল খন্দকার, উপন্যাসিক শাহাদাত হোসেনসহ বাংলাদেশ এবং আমিরাতের লেখক সাহিত্যকরা৷