সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘টিকটক’ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম একটি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই। এই গ্রহণযোগ্যতা না থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
আমিরাতে বিশেষ করে দুবাই শহরের রিয়েল স্টেট ব্যবসা থেকে শুরু করে মুদি দোকান পর্যন্ত টিকটিক মার্কেটিং চোখে পড়ে৷ টিকটকে মার্কেটিংয়ের কাজ করেন ভারত, পাকিস্তান, মিশরের নাগরিকরা৷ টিকটকে মার্কেটিং করে আজ অনেকেই সফলতা পেয়েছেন৷ বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় তাদের সফলতার খবর পড়ি।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দুই একজন ছাড়া এখানে বাংলাদেশিরা টিকটকে মার্কেটিং না করে টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছন। তারা সারাদিন গালাগালি, শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য, অশ্লীলতা নিয়েই পড়ে আছে। বিনোদন মোটেও না৷ বিনোদনের নামে যা করছে অনেকে তাদের মানসিক রোগী হিসেবে আখ্যায়িত করেন৷
গত বছর শেষ হওয়া এক্সপো-২০২০ তে অনেক টিকটক ব্যবহারকারীদের দিয়ে কর্তৃপক্ষ মার্কেটিং করেছে। পুরো বিশ্ব থেকে টিকটক ব্যবহারকারীদের এনে প্রচার করিয়েছে। আমিরাতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রচারে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি এই সুযোগ পান নি৷ না পাওয়ার জন্য তারাই দায়ী। অন্যের গানে ঠোঁট নাড়িয়ে, এলোপাথাড়ি নেচে আর যাইহোক কাজের কাজ কিছুই হবে না।
টিকটকার গালি থেকে মার্কেটিং কাজে টিকটককে কাজে লাগানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে নিজেকে বদলাতে হবে৷ ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে৷ প্রযুক্তির তালে না নেচে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ৷