
ভারতে ৯ বছরের এক দলিত শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুরোহিত ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর থেকে দিল্লিজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। বিশেষ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করছেন তরুণরা। খবর এনডিটিভির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও স্বশরীরে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরোনো নাঙ্গাল এলাকায় বর্বর এ ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির পাশেই শ্মশানঘাট। সেখান থেকে পানি আনতে যায় নয় বছরের দলিত মেয়েটি। শ্মশানেই তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এরপর পরিবারকে না জানিয়েই তড়িঘড়ি করে তার মরদেহ চিতায় তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় ঘটনা টের পেয়ে যান স্থানীয়রা।
নিহতের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করলে প্রায় ২৪ ঘন্টা পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত এক পুরোহিত ও তার তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে।
তবে দলিত সংগঠনগুলো বলছে, মেয়েটি যেহেতু দলিত বা নিম্নবর্ণের তাই এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হবে কীনা তা নিয়ে শঙ্কিত তারা। যদিও দিল্লি সরকার এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার ওই দলিত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মৃতার পরিবারের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে রাহুল বলেন, ‘যত ক্ষণ না তাঁরা বিচার পাচ্ছেন, আমি তাঁদের পাশে থাকব।’
রাহুল বলেন, ‘শিশুটির পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বিচার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আমায়। আমি তাঁদের পাশে দাঁড়াব। যত ক্ষণ না তাঁরা বিচার পাচ্ছেন, রাহুল গান্ধী তাঁদের পাশেই থাকবে।’
এ ছাড়াও এদিন শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি শিশুটির পরিবারকে দশ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে ৯ বছর বয়সী নিরীহ শিশুটিকে নির্যাতনের পর হত্যা করা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজন আছে … অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিৎ।’