দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে করোনাভাইরাস মহামারীকালেও সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুমকি দেন তিনি।ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তি দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রিজভী বলেন, গতকালও ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদকে কোনো কারণ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা করোনা ও বন্যায় তারা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে, এটাই তাদের অপরাধ।
‘আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ইসহাক সরকারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। এই মুক্তি যদি বাধাগ্রস্ত হয়, আর ফুটপাত নয়, এবার রাজপথের সমস্ত কনক্রিট উড়িয়ে আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করব।’ সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি তো ক্ষমতায় টিকে আছেন বন্দুকের জোরে। অনেক সময় বন্দুক কাজ করে না, অকার্যকর হয়ে যায় জনগণের কাছে।
তিনি দাবি করেন, ক্ষমতাসীনদের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের মুখ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যেই বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। রিজভী আরও বলেন, ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত, এটা তো ঢাকতে হবে। ফরিদপুরের দুই আওয়ামী লীগ নেতা ওই শহরে মার্সিটিজ গাড়ি চালায়, এই গুলোকে তো ঢাকতে হবে। জিকেজির সাবরিনার ঘটনাকে ঢাকতে হবে, রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদকে তো ঢাকতে হবে, ক্যাসিনোর সম্রাটকে তো ঢাকতে হবে।
‘তাই ছাত্রদলের রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাই ইসহাক সরকারকে দুই বছরের বেশি সময়ে আটকে রাখা হয়েছে।’ রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ভিত্তি নাই, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন না হলে প্রধানমন্ত্রী আপনার এত ক্ষমতা, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পান। দিনের নির্বাচন নির্বাচন রাতে করেন।
১৫ অগাস্ট ও ২১ অগাস্টের ঘটনাবলী নিয়ে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।