অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২৪ অক্টোবর থেকে পুনরায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দক্ষিণ কোরিয়ায় গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকরা ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারছেন।
ইপিএসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভিসা কার্যক্রম খুব শীঘ্রই শুরু হওয়ার বার্তা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস। সেখানে বলা হয়েছে- বাংলাদেশকে ১ নভেম্বর থেকে কালো তালিকা মুক্ত করা হলো। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ভ্যাকসিন পূর্ণডোজ সম্পন্নকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের কোরিয়া আগমনের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন সিস্টেম উঠিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের নাগরিকগণ যারা অক্টোবরের মধ্যে দুই ডোজ ভ্যাকসিন সম্পন্ন করবেন তারা নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে এই সুবিধার আওতায় আসবেন।
বাংলাদেশ থেকে ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুইজন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ রোগী কোরিয়া প্রবেশ করেছে। নিষেধাজ্ঞা উঠানোর পর রেগুলার ফ্লাইটে এভাবে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই যাওয়ার পর পজিটিভ ধরা পড়লে, দুই-তিনটা ফ্লাইট হওয়ার পর আবারো ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন ইপিএস কর্মীরা।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াগামী আটকেপড়া প্রবাসী ইপিএস কর্মী এবং রিএন্ট্রি কর্মীরা চরম হতাশায় ভুগছেন। করোনা মহামারীর কারণে তিন মাসের ছুটিতে এসে প্রায় দুই বছর যাবত ২০০০ ইপিএস কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী দেশটিতে ফিরতে পারছেন না।
প্রায় দু’বছর যাবৎ করোনা মহামারীর ফলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞা কবলে পড়ে। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়ার পরে ছুটিতে আসা ইপিএসএস সহ অন্যান্য ভিসা প্রাপ্ত বাংলাদেশি ব্যক্তিরা দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে; যার ফলে পুনরায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বাংলাদেশ। এর ফলে আটকে থাকা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের আশার আলো নিভতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ সাল থেকে (এমপ্লয়মেন্ট পার্মিট সিস্টেম) ইপিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ করে আসছে। বাংলাদেশি কর্মীরা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেলের) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করে থাকেন। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ২১ হাজার ৯৩৩ জন বাংলাদেশি কর্মী ইপিএসের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া গমন করেন।