করোনা মহামারির কারণে বছর দুয়েক বন্ধ থাকার পর রাসুলে করিম (সা.)-এর একটি জুব্বা মুবারক প্রদর্শন শুরু হয়েছে তুরস্কের একটি মসজিদে।
আর তা নিজ চোখে দেখতে হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। প্রিয় নবীর (সা.) জুব্বা দেখে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। কারও কারও চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল।
ডেইলি সাবাহের খবর বলছে, ইস্তাম্বুলের ফেইথ জেলায় হিরকা-ই শরিফ মসজিদে নবীজির (সা.) পোশাক ফের সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। গেল ১ হাজার ৪০০ বছর ধরে এটি যত্নসহকারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
হজরত ওয়াইস করনির কোনো এক বংশধরের মাধ্যমে পোশাকটি তুরস্কের মসজিদে এসেছিল। ইয়েমেনের এই অধিবাসীকে রাসুল (সা.) তার জুব্বা উপহার দিয়েছিলেন। প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী ইয়ালিকায়া ও ফাতিহ অঞ্চলের মেয়র ইরগুন তুরান উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে সবসময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত হচ্ছে। দর্শনার্থীরা তেলাওয়াত শুনতে শুনতে নবীজির (সা.) পোশাক দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সাধারণত রোজার সময়েই ধর্মীয় শিল্পকর্মগুলো প্রদর্শন করা হয়। এর আগে করোনা মহামারির কারণে এই প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
রমজানে শুক্রবার দিনটিকে সবচেয়ে পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। জুমার পরই রাসুলের (সা.) জুব্বা রাখা কক্ষটি খুলে দেওয়া হলে সেখানে মানুষের ঢল নামে। এ সময় কোরআন তেলাওয়াত শুনতে শুনতে কাউকে কাউকে কাঁদতেও দেখা গেছে।
লায়লা কাহরামান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘রাসুলের (সা.) জুব্বা দেখার জন্য আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। ধৈর্য ধরে রাখতে পারছিলাম না। যে কারণে রাতে ঘুমাতে পারিনি। এ মুহূর্তের জন্য আমি দুই বছর অপেক্ষায় ছিলাম।’
এ সময় সঙ্গে তার নয় বছর বয়সী ছেলে ওমর ফারুক উপস্থিত ছিল। সে জানায়, সে নবীজিকে খুবই ভালোবাসে। এখানে এসে তার বেশ ভালো লাগছে।