তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ভূমিকম্পের ১২ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় জীবিত কাউকে উদ্ধারের আর আশা নেই। তাই এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মরদেহের খোঁজ চলছে ক্ষতিগ্রস্ত এসব অঞ্চলে। হালকা যন্ত্রপাতির বদলে এখন বুলডোজারের মতো ভারী যন্ত্র দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে অলৌকিক কোনো ঘটনার প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন ভুক্তভোগী কয়েক হাজার মানুষ। অলৌকিক হচ্ছেও। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ১১দিন পর আনতাকিয়া শহরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় এক পরিবারের তিনজনকে। ভূমিকম্পের ২৯৬ ঘণ্টা পর বের করে আনা হয় তাদের। তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে বাবা-মা বেঁচে গেলেও পানিশূন্যতায় পরবর্তীতে মৃত্যু হয় শিশুটির। তার আরও তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে ভবনের নিচে চাপা পড়ে।
প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬০০’র বেশি। ৬ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে সিরিয়ায়। তবে গত কয়েকদিনে হতাহতের তথ্য হালনাগাদ করেনি দেশটি। ত্রাণ সরবরাহে জটিলতাও কাটেনি। ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম।