ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৫ হাজার রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজকেও আমরা খুব সুন্দরভাবে করতে চাই। কারণ এই একটাই জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যাতে সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন।
বুধবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ঢামেককে আমরা নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। পুরনো ঐতিহ্য কিছুটা আমরা ধরে রাখতে পারি সামনের ডিজাইন অনুযায়ী। কিন্তু ভেতরে সম্পূর্ণ আধুনিক একটা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ আমরা নির্মাণ করব। ইতোমধ্যে সেই প্ল্যান তৈরি করা আছে। সেটার কাজ যাতে দ্রুত হয় তার ব্যবস্থা আমরা করতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকে ঘিরে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। সম্পূর্ণ আধুনিকভাবে টিএসসি প্রতিষ্ঠা করব। এটা ছাত্র-শিক্ষকদের একটা মিলন কেন্দ্র, যাতে করে এটাকে আরও সুন্দরভাবে তৈরি করব সেই নির্দেশ আমি দিয়েছি। সেভাবে নতুন করে ডিজাইন ও প্ল্যান করে করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলেছিলাম, আমি জানি বিশ্ববিদ্যালয় এটা করতে পারবে না। কাজেই এটার জন্য টাকা-পয়সা যা খরচা লাগে…।
এর আগে ভার্চুয়াল আলোচনার শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের সভাপতির একটা গাইডলাইন চাই। আমরা নিজেরা কিছু বিষয় আলোচনা করেছি। এর মধ্যে রয়েছে- আমাদের যেসব জেলা, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে, তাদের আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আপনার অফিসে (সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, ধানমণ্ডি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আরেকটি হল- এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সম্পাদককে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট উপকমিটি গঠনের রিকমন্ডেশন তৈরি করেছি, সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক আপনি।
তিনি বলেন, আর আমরা সীমিত আকারে সাংগঠনিক কর্মসূচি এখন থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পালন করার জন্য একটি নির্দেশনা দিচ্ছি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আপনার জন্মদিন। এটা আমরা খুব সীমিত আকারে পালন করব। এটা প্রতি বছরই করে থাকি। আপনি না বললেও করব।
জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব আমি গ্রহণ করছি না। বাকিগুলোর মধ্যে সাব-কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো। এটা করা উচিত। যাতে সাব-কমিটিগুলো বসতে পারে। বিষয়ভিত্তিক সেমিনার করা, আলোচনা করা। আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যত কর্মসূচি সেগুলো ঠিক করা। সাব-কমিটিগুলো এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিপ্লব বড়ুয়া, শাম্মী আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা প্রমুখ।