রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ২৩ লাখ টাকা মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রাসহ আরও এক যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
রোববার (৮ আগস্ট) তুরস্কের ইস্তাম্বুলগামী তার্কিস এয়ারলাইন্সের যাত্রী হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ওই মুদ্রাগুলো জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে কাস্টমস ও ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুল্ক গােয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক তানভীর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইস্তাম্বুলগামী এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা আটক করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে আজকের আটককৃত মুদ্রার পাচারকারীর সঙ্গে এর যোগসাজশ থাকতে পারে।
শুল্ক গােয়েন্দা জানায়, গােপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গােয়েন্দার একটি দল গতকাল রাতেই বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়। এরপর ভোর ৩টায় ইস্তাম্বুলগামী তার্কিস এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নং- টিকে ৭১৩) সন্দেহভাজন যাত্রী হাবিবুর রহমান বিমানবন্দরের দ্বিতীয় তলায় ব্যাগেজ চেক ইন শেষে বাের্ডিং পাস নেওয়ার সময় পিঠে রাখা ব্যাগে ন্যাপ স্ক্যানিং করে এক ধরনের বস্তু দেখা যায়। পরবর্তীতে ওই যাত্রীকে বিমানবন্দরের কাস্টমস হলের ব্যাগেজ কাটারে নিয়ে তার ব্যাগ দ্বিতীয়বার স্ক্যানিং করা হয়।
তখন ব্যাগেজ কাউন্টার তল্লাশি করে ব্যাগের ভেতরে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ১৮০টি ৫০০ মুদ্রা মানের মােট ৯০ হাজার সৌদি রিয়েল পাওয়া যায়। যার মূল্যমান বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া ৪০টি ৫০০ মুদ্রা মানের ২০ হাজার ইউএই মুদ্রা পাওয়া যায়। বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা মােট বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে বৈদেশিক মুদ্রাসমূহ সংগ্রহের বৈধ কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট ও ১৯৬৯ ধারায় বিভাগীয় মামলা এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত প্রতি ট্রিপে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে নেওয়া যাবে না।