ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বিকাশে বিরাট বাধা। এ আইনের ২০টি ধারাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১৪টি ধারা জামিন অযোগ্য। গণমাধ্যমের হাত পা বেঁধে রেখে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব হবে না। এ আইন নিপিড়নমূলক, এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়াবহতা আমরা উপলব্দি করছি। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বিকাশের লক্ষে যা কিছু করার আমরা সব কিছু করতে অঙ্গিকারাবদ্ধ।
সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল সম্পাদক পরিষদ ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস : ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, নিউজ পেপারর্স ওনার্স এসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ, ইংরেজী দৈনিক নিউএজের সম্পাদক নূরুল কবীর, সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যমল দত্ত, সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বিএফউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আসহান বুলবুল, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও ওমর ফারুক, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী এবং ঢাকা রিপোর্টারর্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
এ ছাড়া সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, মোস্তফিজ শফি প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।