ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত সদর দফতর ডাক ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডাকঘর সদৃশ ভবনটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লেটারবক্স অনেকে ভুলে গেছে। সবাই এসএমএস ও মেইল দেয়। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এই লেটারবক্স সদৃশ ভবন দেখলে চিঠি পাঠানোর কথা মনে পড়বে।’
ভবনে চিঠিপত্র ঝুলছে, চিঠি যাচ্ছে আসছে, এমন কিছু চিত্র যোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ১১ টার দিকে ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত সদর দফতর ডাক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন তিনি।
দেশের সব ডাকঘরকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ডাক বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাকসেবা কীভাবে উন্নত করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় স্বাধীন বাংলাদেশে ডাক বিভাগের কর্মচারীদের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ১৪ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদফতরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলায় ডাক অধিদফতরের প্রশাসনিক সদর দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাফতরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা হয়।