মোহাম্মদ মিলন আকতার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: মেয়ে সিমিক (১৪)’কে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মাদরাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তার বাবা মাসুদ রানা। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী হাফিজা বেগমও।
তবে মাদরাসায় পৌঁছানোর আগেই পথে বেপরোয়া হানিফ কোচের ধাক্কায় প্রাণ হারায় তিনজনই।
ঘটনাস্থলেই মারা যান হাফিজা বেগম। নিহত হাফিজার স্বামী মাসুদ রানা ও মেয়ে সিমিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর বাবা ও মেয়েকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এক ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান স্বামী-স্ত্রী ও তাদের একমাত্র মেয়ে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। একই পরিবারের তিনজনকে হারিয়ে হতবিহ্বল স্বজনরা।
নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিপুর কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, রোববার সকালে মেয়েকে মাদরাসায় পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন তারা। ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছালে বালিয়াডাঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলেই হাফিজা বেগম মারা যান। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ রানা ও সিমিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ।