![InShot_20221222_150349688](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2022/12/InShot_20221222_150349688.jpg)
মোহাম্মদ মিলন আকতার, ঠাকুরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অপার সৌন্দর্যে মোহিত রামরাই দিঘির জলে পানচিল, পানকৌড়ি, পাতিহাঁসসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার পাখির আগমনে দিঘির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে কয়েকগুন বেশি।
শীত এলেই প্রকৃতি সজ্জিত হয় তার অপার সোন্দর্যের লীলাখেলায়। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত পুরনো ঐতিহাসিক রামরায় দীঘির। অতিথি পাখির আগমনে তার নতুন সাজ আরো বাড়তি সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এই রামরায় দিঘিতে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হচ্ছে প্রতিদিন । পাখি প্রেমী ও সৌন্দর্য পিপাসুরা এক ঝলক পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন দুর দূরান্ত থেকে।
শীতজুড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রামরায় দিঘি অতিথি পাখির আনাগোনায় মুখরিত থাকে সর্বদা। রামরায় দিঘির জলে পানচিল, পানকৌড়ি, পাতিহাঁসসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার পাখির আগমনে দিঘির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে। এসব পরিযায়ী পাখির আগমনে পাঁচশ বছরের পুরনো জেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তর এই দিঘির সৌন্দর্যে ক্রমান্বয়ে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে।
পাখি প্রেমী ও সৌন্দর্য পিপাসু দর্শনার্থীরা জানান, অতিথি পাখির আগমনে এখানকার সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে। অপরূপ সুন্দর লাগছে পাখির অবাধ বিচরণ। এ যেন পাখিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।যেখানে পাখিরা উড়তে পারে নির্বিঘ্নে, মুক্ত আকাশে উড়তে পারে ডানা মেলে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পেরেই খুশি পাখি প্রেমীরা।
দীর্ঘদিন ধরে দীঘিটির তত্ত্বাবধানে থাকা (ইজারা নেওয়া) মৎস্য চাষি আইনুল হকের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতিথি পাখির আগমনে আমরা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তারপরও আমরা পাখিদের যেন সুন্দর একটি অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে সেদিকে যথেষ্ট পরিমানে নজরদারি দিয়েছি। কেউ যেন পাখি শিকার না করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সহ আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির জানান, অতিথি পাখির অভয়াশ্রম রামরাই দিঘি। কেউ যেন পাখি শিকার করতে না পারে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।