সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘ ৯বছর বন্ধ থাকার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সম্প্রতি ভিসা চালু হয়েছে। দেশটিতে বাংলাদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারন ও বৃদ্ধি হচ্ছে। প্রতিদিন যেমন নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান চালু হচ্ছে তেমনি প্রয়োজন হচ্ছে নতুন নতুন শ্রমিকেরও। কিন্ত আমিরাতগামী বিমানের টিকিটের চড়ামূ্ল্য এবং ভিজিট ভিসাধারীদের দেশের এয়ারপোর্টে নানা হয়রানীর জন্য ব্যবসায়ীরা শ্রমিক সংকটে পড়ছেন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে বিগত ৯ বছর ধরে ভিসা ও ভিসা পরিবর্তন বন্ধ ছিল। নানা চড়াই-উতরাইয়ের পর বিগত ৮/৯ মাস ধরে অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তন ও ভিজিট ভিসায় এসে জব ভিসা লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি হওয়াতে প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু হচ্ছে যাদের অধিকাংশেরই মালিক বাংলাদেশি। কিন্ত ভিজিট ভিসাধারীদেরে এয়ারপোর্টে হয়রানী এবং বিমানের টিকিটের চড়ামুল্যের কারণে দেশীয় শ্রমিক আনতে ও প্রবাসীদের দেশে আসা যাওয়া করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ভিজিট ভিসা ছাড়া সাধারণ যাত্রীদেরও টিকিট কিনতে হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের তুলনায় তিন চারগুণ বেশী দামে।
আমিরাতের বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানান, ভারত, পাকিস্তান, নেপাাল হতে যেখানে একজন লোক ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচে টিকিট কিনে আমিরাতে আসছেন। সেখানে বর্তমানে এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট আর চড়াদামে টিকিট করে বাংলাদেশ হতে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০/৭০ হাজার টাকা খরচ করে বাংলাদেশিদের আমিরাতে আসতে হচ্ছে।
ঈদ, রমজানকে সামনে রেখে টিকিটের বাজারে আগুন লেগেছে বলে অনেক প্রবাসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা টিকিটের দাম কমানোর পাশাপাশি আমিরাতে ভিসা জটিলতা, শ্রমিক সংকট ও ভিজিট ভিসায় আমিরাতগামীদের দেশের এয়ারপোর্টে হয়রানী বন্ধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
উৎসঃ কালেরকণ্ঠ