অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের সঠিক তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে আমরা একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। টাকা পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি নিয়েও আমরা ভাবছি।
আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, দেশ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এসব টাকা ফেরত আনতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী জানান, বিদেশে টাকা পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে আগামী বাজেটে ট্যাক্স দিয়ে পাচার হওয়া টাকা বৈধ পথে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সরকারের কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ধরনের অনেক সুযোগ দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় যখন এমন একটি অ্যামনেস্টি দিয়েছিল। তখন বিদেশ থেকে অনেক টাকা তাদের দেশে ফেরত এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এখান থেকে যারা টাকা নিয়ে গেছে, তারা এ সুযোগটি কাজে লাগাবে। তাদের জন্য এটি অত্যন্ত ভালো একটি সুযোগ, সেটি তারা কাজে লাগাবে। যেসব টাকা বিভিন্ন চ্যানেলে বিদেশে চলে গেছে, সেগুলো ফেরত আনার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।
টাকা পাচারকারীরা কর দিয়ে তালিকাভুক্ত হতে চাইবে কী না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি বাজেটে উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, বিদেশে যে টাকাগুলো চলে গেছে, আমরা চাচ্ছি টাকাগুলো যাতে আবার দেশে ফেরত আনা যায়। বাজেটের আগেই আমরা এটি চেষ্টা করছি। আমরা নিজেরাও চিন্তা ভাবনা করছি। বাজেট সংসদে
উপস্থাপিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে আমরা বলতে চাই না। যখন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকই নেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করলে সবাই জানতে পারবে।