
মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের ঝিকরগাছা থেকে সুমাইয়া খাতুন নামে এক নারীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামস্থ মোহিনিকাটি বটতলা থেকে ফকিরটেক গামী কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন একটি ঘাসের ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ওই নারী যশোরের শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের রেজা আহমেদ এর মেয়ে। সকালে জমির মালিক লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন সুমাইয়ার পরিবার। দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে জানা যায়, ঘটনার আগেরদিন সুমাইয়া পিতার বাড়িতে ছিলো। দিনের কোন এক সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়িতে আসেনি সে। রাতে তাকে ডেকে এনে শ্বাসরোধ করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারা হয়।
নিহতের পরিবার ও একাধীক সূত্র মতে ধারণা করা হচ্ছে তার এই নির্মম মৃত্যু প্রেম ঘটিত কারনে হতে পারে। স্বামীর সংসারের পাশাপাশি একাধিক প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সুমাইয়া। সে শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে আয়ুব হোসেনের স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী ছিলো।
সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার পরিবারের মাঝে গভীর শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন সকালে থানায় উপস্থিত হয়ে মরদেহটি সনাক্ত করেন এবং প্রকৃত আসামী সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য মামলা দায়ের করেন।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের আটকের জন্য অভিযান সহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।