বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য ২১৬ রানের টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের এক পর্যায়ে আড়াইশো রানের সম্ভাবনা জাগালেও ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে বাংলাদেশ আর, ৪৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করতে পারে হাসমাতুল্লাহ শহিদির দল।
এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দেখায় টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শহিদি। তৃতীয় ওভারেই রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম উইকেটের পতনের পর রাহমাত শাহকে নিয়ে ধীরে সুস্থে এগোতে থাকেন ইবরাহিম জাদরান। এরপর শরিফুলের অফ স্ট্যাম্পে পিচ করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে দাঁড়ানো ইয়াসির রাব্বির হাতে ধরা পড়েন আফগান ওপেনার জাদরান। ভেঙে যায় ৪৫ রানের জুটি।
এরপর দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে আসেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম স্পেলে কিছুটা খরুচে হলেও তাসকিন আহমেদের বাড়তি পেস ও বাউন্সে পরাস্ত হয়ে রাহমাত শাহ ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর মোহাম্মদ নবিকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন। মাঝখানে হাসমাতুল্লাহ শহিদিকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে গুলবাদিন নাইবকে নিয়ে নাজিবুল্লাহ জাদরান এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইনিংসকে। জাদরান হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও সাকিবের জোড়া আঘাতের পর ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করেছে তামিম ইকবালের দল।
ম্যাচের ৪৫ তম ওভারে বল করতে যখন আসেন সাকিব আল হাসান, তখন আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৯৪ রান। উইকেটে ছিলেন সেট হয়ে যাওয়া নাজিবুল্লাহ জাদরান এবং গুলবাদিন নাইব। সাকিবের জোড়া আঘাতে ফিরে যান গুলবাদিন ও রশিদ খান। এরপর শেষ কটি উইকেট দ্রুত হারায় আফগানরা। অবশেষে ৫০ তম ওভারে গিয়ে ২১৫ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। বাংলাদেশের পক্ষে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া তাসকিন, সাকিব ও শরিফুল নেন ২টি করে উইকেট। এক ওভার বল করতে এসেই ১টি উইকেট দখল করেন মাহমুদউল্লাহ।