বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন তাদেরকে কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কি পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজকে কারাগারে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে পথশিশুদের মাঝে খাবার ও অসহায় নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে মিথ্যা মামলার রায়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে আসতে পারছেন না।
জেডআরএফের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নিজেও মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসতেন। আজকে তার নামেই ফাউন্ডেশন সেই কাজ করছে। শহীদ জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শিশু একাডেমি থেকে শুরু করে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও আইন করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বলেন দুর্নীতির অভিযোগ করলেই হবে না। প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠান করে কি? আপনাদের লোক নাই? বিএনপির কর্মসূচি পালনের সময়তো ঠিকই ধরেন।
নজরুল ইসলাম খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেন। বিএনপি ঠিকই বের করবে কারা ব্যাংক লুট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা এর পেছনে জড়িত তাদেরকে সামনে আনা হবে। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অনেক মা বোনের ইজ্জত ও রক্তের বিনিময়ে। আজকে দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গরিব অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আসছে।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেডআরএফের ডা. আহমেদ শফিকুল হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো. হানিফ, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চু্ন্নু, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, কৃষিবিদ কৃষিবিদ আবদুর রহমান নূরী, সানোয়ার আলম, অধ্যাপক ড. আবু জাফর, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, শামীমা রহিম, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সোহেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।