জেনিথ ইসলামী লাইফের কোন প্রকার বীমা দাবি পেন্ডিং নেই উল্লেখ করে কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেছেন, গ্রাহকসেবা ত্বরান্বিত করতে আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পলিসি করার সাথে সাথেই ইস্যু করা হচ্ছে বীমা দলিল। আবার অনলাইন মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে বীমা দাবি।
তিনি বলেন, বীমা দাবি পেতে জেনিথ ইসলামী লাইফ গ্রাহকদের কোন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয় না। এমনকি কোন সময়ক্ষেপণও করতে হয় না। কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই আমাদের গ্রাহকদের বীমা দাবির টাকা যথাসময়ে তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়।
শনিবার (৭ অক্টোবর) কক্সবাজারে হোটেল সী-প্যালেসে আয়োজিত কোম্পানিটির বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন এস এম নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
এস এম নুরুজ্জামান বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক একটি জীবন বীমা কোম্পানি। আমরা নির্বাহী রশিদ ব্যতীত গ্রাহককে বীমা দাবি পরিশোধ করে থাকি। এখন পর্যন্ত কোম্পানির পরিশোধিত মোট বীমা দাবির পরিমাণ ১৯ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি বলেন, ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে আমাদের আইটি কার্যক্রম। প্রদান করা হচ্ছে ই-রিসিপ্ট। স্থাপন করা হয়েছে কল সেন্টার। সহজে প্রিমিয়াম দেয়ার জন্য আমাদের রয়েছে ১৭টি ব্যাংকের সাথে অনলাইন একাউন্ট। তাছাড়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাথে রয়েছে আমাদের কো-ব্র্যান্ডেড ভিসা কার্ড।
ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের নবায়ন ও ডেফার্ড প্রিমিয়াম ব্যাংকে জমা করে ব্যাংক থেকেই সরাসরি কোম্পানির প্রিমিয়াম রসিদ পেয়ে থাকেন। গ্রাহকের মোবাইলে অটো এসএমএস চলে যায়।
জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় ঋণ ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকে এফডিআর ও বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩১ কোটিরও অধিক টাকা।
এ ছাড়াও কোম্পনির আর্থিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে নবায়ন প্রিমিয়াম, গ্রুপ বীমা এবং স্বাস্থ্য বীমা পলিসিতে প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বীমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে বলতে গেলে জেনিথ ইসলামী লাইফ খুবই আন্তরিক এবং অত্যন্ত তড়িৎ গতিতে বীমা দাবি নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে বীমা সেক্টরে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে।
সারা দেশে বিস্তৃত ১০০টির অধিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেনিথ ইসলামী লাইফ প্রতিটি গ্রাহককে দিচ্ছে লাইফ কেয়ার কার্ড।
এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের রয়েছে বাংলাভাষায় মোবাইল অ্যাপস। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস তথা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি ব্যবহার করে সরাসরি যেকোন সময় তার পলিসির প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেন।
এ ছাড়াও পলিসির প্রিমিয়াম স্টেটমেন্ট, বর্তমান অবস্থাসহ সকল তথ্য জানতে পারেন, ডাউনলোড করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির ওয়েবসাইট বাংলা এবং ইংরেজীতে উভয় ভাষাতেই রচিত। আমাদের রয়েছে অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ, টুইটার, লিংকডইন যা দ্বারা খুব সহজেই কাস্টমারের কাছে বীমা সুবিধা প্রচার করা যায় এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায়।