এপ্রিলে নয়, আগামী বছরের জুনে চালু হচ্ছে অবৈধ মোবাইল শনাক্ত ও বন্ধের কার্যক্রম। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি জানিয়েছে, মার্চের মধ্যেই প্রস্তুত করা হবে ন্যাশনাল আইডেন্টিটি ইকুইপমেন্ট রেজিস্ট্রেশন-এনইআইআর ব্যবস্থা। বিটিআরসি বলছে, নতুন এই প্রযুক্তি চালু হলে মোবাইল বিপণন খাত থেকে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব পাবে সরকার।
বছরে ৩ কোটি হ্যান্ডসেট আসে দেশে। যার মধ্যে অবৈধ পথেই আসে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এতে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এ অবস্থায় ২০১২ সালে প্রথম অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার প্রায় ৮ বছর পর উদ্যোগটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিটিআরসি কার্যালয়ে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার-এনইআইআর ব্যবস্থা চালুর জন্য সিনেসিস আইটি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ১৩ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হবে।
সিনেসিস আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, আগামী মার্চের মধ্যেই আমাদের সফটওয়্যারের যে পুরো প্রক্রিয়াটি, এটা আমরা এর মধ্যেই সুসম্পন্ন করতে পারব।
মূল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মোবাইল অপারেটরদের ইআর সিস্টেম। নতুন মোবাইল সেট কেনার পর ‘*#06# লিখে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর নিতে হবে। এরপর কে ওয়াই ডি এর সঙ্গে আইএমইআই নম্বর লিখে 16002 নম্বরে পাঠাতে হবে। ন্যাশনাল ডেটাবেজে আইএমইআই নম্বর খুঁজে না পেলে সচল হবে না সিম কার্ড। ইতোমধ্যে ব্যবহৃত সব মোবাইল সেট গ্রাহকরা একইভাবে জানতে পারবেন তার সেটটি বৈধ না অবৈধ। তবে পুরনো গ্রাহকদের অবৈধ ফোন বন্ধের আগে নিবন্ধনের সুযোগ দেবে বিটিআরসি।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শহীদুল আলম বলেন, ‘পুরনো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সেটটা এনইআইআর সিস্টেমে ইআইআর এর অপারেটরের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসবে। আমরা ক্রস চেক করার পরে পার্টিকুলার টাইমের পরে সেটটা অন হবে। সেই টাইমটা আসলে ৩০ মিনিটও হতে পারে বা এর বেশিও হতে পারে।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে সিনেসিস আইটি লিমিটেডকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহরুল হক বলেন, সিনেসিস তার সঠিক সময়ে, সঠিক কাজটি শেষ করবে বলে আমরা আশা করি। দেশে প্রায় ১৭ কোটি মোবাইল সংযোগ ব্যবহারকারীর মধ্যে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি আইএমইআই নম্বর ন্যাশনাল ডেটাবেজে যুক্ত করেছে বিটিআরসি।
উৎসঃ যমুনা টেলিভিশন