বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সারুলিয়া বাজার সংলগ্ন মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে বিএনপিকে মিথ্যাচার না করার আহ্বান জানান নানক।
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড আমাদের জন্য চরম শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আর এ শিক্ষা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী-দেশপ্রেমিকদের দলের কর্মী বানাতে হবে। তাহলেই একটি আদর্শ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হবে।
তিনি বলেন, ’৭৫ এর এ ঘটনা কেন ঘটল এটা খুঁজতে হলে ’৭১ কে খুঁজতে হবে। জেনারেল জিয়া পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ জিয়া ও তার সকল সহযোগী স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করে।
নানক বলেন, আজকে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে রোল মডেলে পরিচিতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, গোলাম আযম ও নিজামির নেতৃত্বে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবির যে দলে ঢুকে সে দল কখনোই দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না।
নানক বলেন, এখনও একটি কুচক্রী মহল শেখ হাসিনার উন্নয়নের দুর্বার গতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া বাংলাদেশের সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ ও এদেশের মানুষ ওই কুচক্রীদের কখনোই সফল হতে দেবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজল। অনুষ্ঠান শেষে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।