টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভরাডুবিতে মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। লম্বা সময় ধরে নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও হতাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাই তো সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। এই গুঞ্জনের মধ্যেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে অধিনায়ক করা হলো নুরুল হাসান সোহানকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবশেষ সিরিজে না খেলা অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও নেই জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দলে। আজ শুক্রবার বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে এক মিটিংয়ের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে নতুন দল পাঠানোর কথা জানিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘এই টিমকে লিড করার জন্য আমরা নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়কত্ব দিচ্ছি। সেটা আমরা মাহমুদউল্লাহকে জানিয়ে দিয়েছি।’
সোহানকে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জালাল বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি টিম নিয়ে আমাদের কিছু ইস্যু ছিল, আমরা কয়েক দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। কারণ, আপনারা জানেন যে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করতে পারছি না। সেজন্য সামনে যেহেতু টি-টোয়েন্টি একটা সিরিজ আছে, এজন্য অনেক চিন্তাভাবনা ছিল বোর্ডের। আমরা কয়েক দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করছি তার ক্যাপ্টেন্সি ইস্যু নিয়ে। আমরা আজকে মাহমুদউল্লাহকে ডেকেছিলাম এবং টি-টোয়েন্টি টিম নিয়ে আলাপ করেছি। তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার আমরা নতুন টিম পাঠাতে চাচ্ছি জিম্বাবুয়েতে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আর মাত্র তিন মাস বাকি। অথচ, এই ফরম্যাটেই বেশি ধুঁকছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মুখস্থ অধিনায়কত্ব তো ছিলই। সব মিলিয়ে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা চলছিল।
মাহমুদউল্লাহর অধীনে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়া সব মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র ১৬ ম্যাচে দলকে জেতাতে পেরেছেন তিনি।
অধিনায়ত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্সে অনুজ্জ্বল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে তার ৩০ পেরোনো ইনিংস কেবল একটি, ২০ পেরোনো ইনিংসও মাত্র দুইটি।