
পশ্চিম জার্মানের বাডেন-ওয়ার্টেমবার্গ সরকার স্কুলে বোরকা ও নিকাব দিয়ে পুরো চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুলাই) মুসলিমদের পুরো মুখ ঢাকা নিয়ে জার্মানের হামবুর্গের একটি আদালত বিতর্কিত এই আইনটি পাস করে। ইতিপূর্বে নারী শিক্ষকদের জন্যও মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করা হয়। এতেকরে জার্মানে বসবাসরত ধর্মানুরাগী মুসলিম নারীদের বেশ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
বাডেন প্রদেশের প্রধান উইনফ্রিড ক্রিস্টম্যান বলেন, সাধারণভাবে স্কুলে মুখ ঢাকা একটি বিরল বিষয়। তবে এর আইনি নির্দেশনা থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, পুরো মুখ ঢাকার বিষয়টি সব স্থানের জন্য নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা খুবই জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে। তাই আইনটি শুধুমাত্র বাডেন-ওয়ার্টেমবার্গের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের প্রযোজ্য হবে।
মুসলিম অধিকার নিয়ে কাজ করা অনেক সংগঠন বোরকা নিষিদ্ধের আইনটির বিরোধিতা করে আসছে। তারা বলছেন, মুখ ঢাকা নিষিদ্ধের ফলে জার্মানে অবস্থানরত শরণার্থী ও অভিবাসী মুসলিমদের সামাজিকভাবে কোনঠাসা করা হবে। অথচ সম্প্রতি হামবুর্গের এক স্কুলশিক্ষার্থী আদালতে আইনি লড়াই করে ওড়না পরিধান করে মুখ ঢাকার অনুমতি লাভ করেছে।
ফেডারেল পার্লামেন্টের গ্রিন পার্টির শরণার্থী বিষয়ক পলিসির মুখপাত্র ফিলিজ পোলাট আইনটির বিরোধিতা করে বলেন, ধর্মীয় পরিচয় সম্বলিত পোশাক পরিধান করা বা না করার স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম পরিচয়।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে জার্মানের পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ায় পুরো মুখ ঢেকে বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে